মোঃ আব্দুর রাজ্জাক – দিনাজপুর –
গাইবান্ধা পলাশবাড়ীর গিরিধারীপুর গ্রামের বলরাম চন্দ্রের নাবালিকা কিশোরী কন্যা (১৩)কে গত (১০ সেপ্টেম্বর ) অপহরণ করেছে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচের সভাপতি অ্যাড রবীন্দ্র ঘোষ জানান, এজাহার ও ঘটনা সুত্রে জানা যায়, বলরাম চন্দ্রের কিশোরী কন্যা গিরিধারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫ ম শ্রেণীতে পড়ালেখা করেন। স্কুলে যাওয়া আসার পথে ছাত্রীকে মানিক মিয়া প্রেমের প্রস্তাবসহ কুপ্রস্তাব দিয়ে উত্যক্ত করত। ছাত্রী মানিক এর প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায়, মানিক ছাত্রীর ভবিষ্যত জীবন নষ্ট করার জন্য বিভিন্ন ভাবে উত্যক্ত করতো এবং উঠিয়ে নিয়ে যাবার হুমকি দিত। বিষয়টি ছাত্রী তাঁর বাবাকে জানালে, ছাত্রীর বাবা তাঁর মেয়েকে উত্যক্ত না করার জন্য, মানিক কে নিষেধ করে এবং বিষয় টি মানিকের অভিভাবক কে জানায়। এরই ধারাবাহিকতায় উক তারিখ ও সময়ে ছাত্রী বাড়ী হইতে গিরিধারীপুর চকপাড়া গ্রামে প্রাইভেট পড়ার জন্য যাওয়ার পথে শংকর মাষ্টারের বাড়ীর সামনে কাঁচা রাস্তায় পৌঁছা মাত্র পুর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা কৌশলে ফুঁসলিয়ে অজ্ঞাত নামা সিএনজি যোগে গাইবান্ধার দিকে নিয়ে যায়।
উক্ত ঘটনার সংবাদ পেয়ে ছাত্রীর বাবা তার নাবালিকা মেয়েকে অনেক খুঁজাখুঁজি করে না পেয়ে পরবর্তীতে ঘটনার বিষয়ে ছাত্রীর বাবা বলরাম চন্দ্র বাদী হয়ে উক্ত মানিকসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২/৩ জনকে আসামি করে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
আসামিরা হলেন, গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার ১নং কিশোরগাড়ী ইউপির দিঘলকান্দি বাউলাপাড়ার আব্দুছ সাত্তার এর পুত্র মানিক মিয়া (২৮) অজ্ঞাত নামা আরও ২/৩ জন।
উক্ত মানিক মিয়া খারাপ প্রকৃতির লোক। ইতি পূর্বে তিনটি বিয়ে করে এবং তাদেরকে তালাক প্রদান করছেন।
বি ডি এম ডাব্লুর সভাপতি জেলা পুলিশ সুপার ও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কে এম আমিরুজ্জামান এর নিকট ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন উক্ত ঘটনার বিষয়ে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের হয়েছে অতিদ্রুত নাবালিকা স্কুল ছাত্রী কে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ নাবালিকা স্কুল ছাত্রী কে উদ্ধার করতে পারেনি।
বি ডি এম ডাব্লুর সভাপতি এহেন ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং নাবালিকা স্কুল ছাত্রীকে অতিদ্রুত উদ্ধারসহ অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে বিচারের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি করেন।
প্রথম / আরডি