শনিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ আবদুর রব হলে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, আজ সকাল আনুমানিক ৯টা ২০ মিনিটে ক্যাম্পাসের জিরো পয়েন্ট থেকে অজ্ঞাত তিনজন হায়াত উল্লাহকে শহীদ আবদুর রব হলের ৩২৪ নাম্বার রুমে নিয়ে যায়।
জানা গেছে, মারধরের শিকার হায়াত উল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ সেশনের সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী। তিনি ছাত্রলীগের উপগ্রুপ ভার্সিটি এক্সপ্রেসের (ভিএক্স) সক্রিয় কর্মী ছিলেন। কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের বিভিন্নভাবে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছাত্রলীগ কর্মী হায়াত উল্লাহর আন্দোলন চলাকালীন সময়ে শিক্ষার্থীদের হুমকি দেওয়ার বেশকিছু কথোপকথনের স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়েছে। যেখানে হায়াত উল্লাহ আন্দোলনকারীদের 'হল থেকে বের করে দেওয়া', 'খুঁজে খুঁজে লিস্ট করা'র হুমকি দিতে দেখা যায়। এছাড়া আন্দোলনকারী 'মীরজাফর' বলেও সম্বোধন করতে দেখা যায় হায়াত উল্লাহকে।
জানতে চাইলে ভুক্তভোগীর সহপাঠী সাইদুর রহমান জুবায়ের বলেন, আমরা সকাল সাড়ে ৮টার দিকে জিরো পয়েন্টে দাঁড়িয়ে ছিলাম। এরপর আমি পাশের একটা দোকানে বস্তা আনতে যাই। এসে তাকে না পেয়ে কয়েকবার কল করি। এরপর যখন তার ফোন ধরে অন্য একজনের কথা শুনতে পাই, তখন বুঝতে পারি কিছু হয়েছে। পরে হলের স্টাফদের কাছে মারধরে কথা জানতে পারি।
তিনি আরও বলেন, আন্দোলন চলার সময় সে সরাসরি কাউকে আঘাত করেনি। ছাত্রলীগের ভিএক্সের গ্রুপে ম্যাসেজ দিয়েছে। সেখানে হুমকি দামকি দিয়েছিল শুধু। সে ঐসময় ক্যাম্পাসেও ছিলো না। আমরা জানিনা কারা মারধরে জড়িত। প্রক্টর স্যার বলেছেন সিসিটিভি দেখে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
চবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ বলেন, মারধরের ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি আমরা। কাল সকালে আমরা অভিযোগের বিষয়ে হল কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে ব্যবস্থা নিবো।
প্রথম/আরডি