সরকার বলছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় অপরাধের ঘটনার বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন করবেন। অপরদিকে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম আশা করছেন, শিগগিরই বিচারক নিয়োগ দেবে সরকার।
আর প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) পর্যন্ত ৫৪টি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এর মধ্যে চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ে ৩৮টি ও তদন্ত সংস্থায় ১৬টি অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
এর আগে বিচারের বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ইসলাম জানিয়েছেন, আমরা চাচ্ছি যে, যেগুলো সবচেয়ে বেশি সেনসেটিভগুলো আগে করতে। ঢাকা শহরে সবচেয়ে বড় বড় হত্যাকাণ্ড যেগুলো হয়েছে, যেমন উত্তরা, যাত্রাবাড়ী, বাড্ডা, মিরপুর ও আশুলিয়াতে হয়েছে। যেগুলো নির্মম হত্যাকাণ্ড এবং জাজল্যমান সেগুলো আলাদা আলাদা করে তদন্ত করে দ্রুত এগুলো বিচারের জন্য আগে নিয়ে আসার চেষ্টা করা হবে। ঢাকার বাইরে রংপুরের আবু সাঈদ। সেটাও প্রায়োরিটি বেসিসে চেষ্টা করা হবে।
তদন্ত সংস্থার কাছে বা প্রসিকিউশনের কাছে যেগুলো আসছে সেগুলো সরাসরি মামলা না। সেগুলো অভিযোগ আকারে আসছে। এগুলো যাচাই-বাচাই করে আমরা যখন ট্রাইব্যুনালের কাছে পিটিশন আকারে উপস্থাপন করব। তখন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইনের অধীনে মামলা হবে। সেই মামলা হওয়ার আগ পর্যন্ত অভিযোগে কারো নাম এলে তিনি আসামি হয়ে যাচ্ছেন না। (ম্যাজিস্টেট কোর্ট বা থানার ব্যাপার আলাদা। ) আমরা যাচাই-বাচাই সাপেক্ষে ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপন করব। এখানে ভুল-ভ্রান্তি হওয়ার সম্ভবনা নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১০.১১ এএম, অক্টোবর ০৬, ২০২৪
প্রথম/আরডি