আনোয়ারা ( চট্টগ্রাম ) প্রতিনিধি –
আনোয়ারায় সন্ত্রাসী বাহিনী ও হেলমেট বাহিনী দিয়ে সীমানা দেয়াল ভাঙ্গার অভিযোগ উঠেছে নুর হোসেন (৫৫) ও তার ছেলে মো. শাকিলের (২৩) বিরুদ্ধে। গত ৬ আগষ্ট সকাল ১০ টায় আনোয়ারা সদরের ঘন পুকুর পাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। দেয়াল ভাঙ্গচুরের ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বাদী হয়ে চট্টগ্রাম সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৯ জনের নামোল্লেখ করে একটি সিআর মামলা দায়ের করেন। মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন আমির হোসেন (৫৭),আনোয়ার হোসেন (৪৫),মো. রায়হান (২২),মো. ফাহিম (২০)।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আনোয়ারা থানা পুলিশকে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন। পুলিশ সরেজমিন তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গত ৯ সেপ্টেম্বর আদালতে প্রতিবেদন জমা দেন। এদিকে দেয়াল ভাঙ্গচুর মামলায় ফেঁসে যাওয়ার ভয়ে সম্প্রতি প্রশাসনকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে উল্টো ভুক্তভোগীদেরকে ফাঁসিয়ে দেয়ার অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।
মামলার এজাহার ও পুলিশের প্রতিবেদন সুত্রে জানা যায়, মামলার বাদী জসিম উদ্দিন ও তার ভাই ফরিদ উদ্দিনসহ তাদের অন্যান্য ভাইদের নামে ঘন পুকুর পাড় এলাকায় ১৯৯৮ সালে জায়গা কিনে গত ১৫ বছর আগে সীমানা প্রাচীর দিয়ে পাকা ঘর নির্মাণ করেন। কিন্তু বাদী ও তাই অন্যান্য ভাইয়েরা পরিবার নিয়ে শহরে থাকেন। আসামী নুর হোসেন বাদীগণের সীমানা প্রাচীর ঘেঁষা হিন্দুদের একটি দেবস্থানের জায়গায় প্রথমে একটি ঝুপড়ি ঘর বেধে বসবাস করে আসছিলেন। বাদী এবং বাদীর ভাইদের পরিবার শহরে অবস্থান করার সুযোগে গত ৬ আগষ্ট নুর হোসেন এবং তার ছেলে শাকিল বহিরাগত ১৫/২০ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে বাদীর সীমানা দেয়াল ভেঙ্গে ফেলে।
ভুক্তভোগী ফরিদ উদ্দিন বলেন, আমরা জমি কিনেছি প্রায় ২৬ বছর আগে। ১৫ বছর আগে সীমানা দেয়াল দিয়ে ঘর বেঁধেছি। আসামী সুর হোসেনের সেখানে কোনো জমি নেই। সে হিন্দুদের একটি সেবাখোলা ও আমার দেড় শতক জমি দখল করে পাকা ঘর নির্মাণ করে। ঘটনার দিন সে এবং তার ছেলে শাকিল আমরা বাড়িতে না থাকার সুযোগে গত ৬ আগষ্ট ১৫/২০ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিয়ে আমাদের প্রায় ১৫ ফুট সীমানা দেয়াল ভেঙ্গে লোহার রড গুলো নিয়ে যায়। এ ঘটনায় আমি আদালতে মামলা দায়ের করলে আসামীরা সংঘটিত ঘটনায় আদালতে ফেঁেস যাওয়ার ভয়ে এখন বিভিন্ন দফতরে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে প্রশাসনকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে ।
জানতে চাইলে অভিযুক্ত নুর হোসেনের পুত্র মো. শাকিল বলেন, আমরা ১৫ বছর ধরে এই জায়গায় বসবাস করে আসছি। আমরা যে জায়গা ভেঙ্গেছি সেই জায়গা দিয়ে আমরা চলাচল করতাম। তারা সেখানে দেয়াল তুলে দেওয়ায় আমরা এতদিন অন্যদিকে দেয়াল টপকে চলাচল করেছি । বাধ্য হয়ে আমরা দেয়ালটা ভেঙ্গেছি। বর্তমানে দেয়ালের ভাঙ্গা অংশ দিয়ে চলাচল করছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইশতিয়াক ইমন বলেন , এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখব।
প্রথম / আরডি