ইয়াসির আরাফাত, হাকিমপুর, প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার হিলিতে মহিলা কলেজ সংলগ্ন ৫ নং ওয়ার্ড, দক্ষিণ বাসুদেবপুর দক্ষিণপাড়া এলাকার আনোয়ার হোসেন ওরফে সাধু আনোয়ার এর পুত্র রাশেদ(২৩) কে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি ও শারিরীকভাবে লাঞ্চিত করার অভিযোগ উঠেছে হিলি দক্ষিণ বাসুদেবপুর চুড়িপট্টি মহল্লার সাদ্দাম হোসেন, পিতা -মৃত জেকের আলীর বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগী ও উপস্থিত সাক্ষীগণের সূত্রে জানা যায়,
২০২৩ সালে বাদী রাশেদ পাসপোর্ট করে ইন্ডিয়াতে যায়,অভিযুক্ত সাদ্দাম বিষয়টি জানতে পেরে, রাশেদের কাছে নিজের জন্য পাসপোর্ট করার আগ্রহ প্রকাশ করে।
রাশেদ অভিযুক্ত সাদ্দাম হোসেনের নিকট তার কোন মামলা আছে কিনা জানতে চাইলে, সাদ্দাম অস্বীকার করে। তখন রাশেদ সাদ্দামকে পাসপোর্টের নিয়ম কানুন ও তার সাথে পাসপোর্ট অফিসে যাওয়ার জন্য রাজী হয়। কিন্তু পাসপোর্টের আবেদন করার পর এবং পাসপোর্ট অফিসে আবেদন বাবদ, আট হাজার পঞ্চাশ টাকা,(৮০৫০ টাকা) জমা দেয়।পুলিশ তদন্তে সাদ্দামের বিরুদ্ধে ৬ টি মাদক মামলার তথ্য উঠে আসে, এবং পাসপোর্ট হয়না।
এমতাবস্থায়, সাদ্দাম দিনাজপুর বিজ্ঞ আদালত থেকে মাত্র ১ টি মামলার রায় নিয়ে এসে পুনরায় রাশেদকে পাসপোর্টের ব্যাপারে সাহায্যের জন্য অনুরোধ করে।
কিন্তু পুনরায় বাকী ৫টি মামলা চলমান থাকার কারণে সাদ্দামের পাসপোর্ট আবেদন অযোগ্য হয়।
কিন্তু অভিযুক্ত সাদ্দাম পাসপোর্টের টাকার তিন চারগুণ টাকা ভুক্তভোগী রাশেদকে দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে।এবং পাসপোর্ট না হওয়ায় রাশেদকে দোষারোপ করে।
২০২৪ সালের ১৮ নভেম্বর, অভিযুক্ত সাদ্দাম, রাশেদকে কৌশলে পথরোধ করে, মারধর করেএবং ইসতিয়াক শেখ টনির বাজারস্থ মা ফার্মেসীর দোকানের মালামাল ও ঔষধ ক্রয় বাবদ প্রায় দশ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।
উল্লেখ্য যে ভুক্তভোগী রাশেদ হিলি বাজারের ঔষধ ব্যাবসায়ী ইসতিয়াক শেখ টনির দোকানের কর্মচারী।
এমতাবস্থায়, এরশাদুল হক বিল্লা, পিতা মোঃ জেকের আলী ও মোছাঃ কহিনুর বেগমক উভয় গ্রাম দক্ষিণ বাসুদেবপুর,থানা হাকিমপুর, জেলা দিনাজপুর কে সাক্ষী করিয়া হাকিমপুর থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। অভিযুক্ত সাদ্দাম হোসেনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার জবানবন্দি নেওয়া সম্ভব হয়নি।
বর্তমানে ভুক্তভোগী রাশেদ গণমাধ্যমের নিকট তার জীবনের নিরাপত্তা ও উল্লেখিত ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আকুল আবেদন জানান।
প্রথম /আরডি