
কর্ণফুলীর সাম্পান সমিতির নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, বন্যার্তদের জন্য সারা দেশের মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়েছে। মানবিক বিবেচনায় বন্যা কবলিত এলাকায় মানুষের জীবন বাঁচাতে গেয়ে কর্ণফুলীর শত শত সাম্পান ও মাঝিরা আটকে পড়ে বিপদে পড়বে তা ভাবিনি। কেননা, লোকজন হঠাৎ করে নৌকা ও মাঝিদের বিভিন্ন কৌশলে বন্যাস্থলে নিয়ে গেছেন।
প্রাপ্ত তথ্য বলছে, মূলত সমস্যা হয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো ত্রাণ কার্যক্রম ও খন্ডকালিন উদ্ধার কাজ শেষে যে যার মতো নৌকা/সাম্পান রেখে চলে যাচ্ছেন। ফলে, সাম্পান মাঝিরা পড়েছে বিপাকে। তাঁরা এত বড় নৌকা রেখে আসতেও পারছেন না।
আবার ভালো ভাবে খাবার পানিও পাচ্ছেন না। মানবিক বিপর্যয়ে সাহায্য করতে গিয়ে নিজেরাই এখন বিপাকে পড়েছেন।
এ বিষয়ে কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি এস এম পেয়ার আলী বলেন, ‘মাঝিদের জীবন ও তাঁদের বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন হলো সাম্পান ও নৌকা। সুতরাং এসব সাম্পান ও মাঝিদের রক্ষার জন্য আমরা প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর সহযোগিতা সুদৃষ্টি কামনা করছি।’
ইছানগর সদরঘাট সাম্পান মালিক সমিতির এই সভাপতি আরও বলেন, ‘ফটিকছড়ি থেকে ১১টি মতো নৌকা মাঝিসহ আজ রাতে ফিরে এসেছে। কিন্তু ফেনীর লালপুল ও ধনোয়া এলাকায় আমাদের অনেক সাম্পান আটকে পড়েছে। ওখানে যাঁরা আছেন। তাঁদের কারো সাথে আমরা যোগাযোগ করতে পারছি না। ফোনে সংযোগ পাওয়া যাচ্ছে না। সকালে আমরা তাঁদের উদ্ধারে সংগঠনের পক্ষ থেকে একটি কুইক রেসপন্স টিম যাচ্ছি। মাঝি পরিবারদের আতঙ্কিত বা উদ্ধিগ্ন হবার কোন কারণ নেই। সংগঠনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালানো হচ্ছে।’
চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত স্পিডবোট মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি মুছা আলম জানান, তাঁদের পক্ষ থেকে চারটি বোট এর মধ্যে ফেনীতে বন্যাদুর্গতদের সহযোগিতায় পাঠানো হয়েছে। প্রয়োজনে তাঁদের সর্বোচ্চটা দিয়ে সহযোগিতা করা হবে।
এ প্রসঙ্গে কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মাসুমা জান্নাত বলেন, ‘বন্যা কবলিত এলাকায় গিয়ে কর্ণফুলীর শত শত সাম্পান মাঝি বিপাকে পড়েছে তা কেউ জানায়নি। তবুও খোঁজ নিয়ে প্রশাসনিক ভাবে যোগাযোগ করে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।’