পরে দুপুরের দিকে ভবনটিতে উদ্ধার অভিযান চালানোর একটি পরিকল্পনা ছিল ফায়ার সার্ভিসের৷ এজন্য গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের একটি বিশেষজ্ঞ দলও সেখানে গিয়েছিল।
কিন্তু প্রচণ্ড উত্তাপ ও কিছু অংশে আগুন জ্বলতে থাকার কারণে কেউ ভেতরে প্রবেশ করতে পারেননি৷ তারা ঢাকা ফিরে গেছেন। ফলে উদ্ধার অভিযানও শুরু করা যায়নি।
এর মধ্যে মঙ্গলবার বিকালের পর আবারও ভবনটিতে আগুন জ্বলে ওঠে৷ সন্ধ্যার পর রাতে সেই আগুনের তীব্রতা বাড়ে৷ তবে, রাতের মধ্যেই আগুন নেভানো সম্ভব হয়েছে বলে জানান আব্দুল মন্নান৷
মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী ছাইফুল ইসলাম বলেছিলেন, “আগুনের তাপে ভবনটির বিভিন্ন অংশ খসে পড়ছে৷ ভবনটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থাতে আছে৷ আগুন পুরোপুরি নিভে গেলে আমরা পর্যবেক্ষণ করব। ভবনটিতে প্রবেশ করে উদ্ধার অভিযান চালানো যায় কিনা সে ব্যাপারে তখন পরামর্শ দেব।”
এদিকে ভবনে অনুসন্ধান চালাতে না পারায় নিখোঁজদের বিষয়ে চূড়ান্ত কোনো তথ্য দিতে পারছে না ফায়ার সার্ভিস।
মঙ্গলবার জেলা প্রশাসন একটি তালিকা করার উদ্যোগ নিয়েছে জানালেও নিখোঁজের কোনো সংখ্যা গণমাধ্যমের কাছে প্রকাশ করছেন না সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা৷
ফলে নিখোঁজদের খোঁজে অপেক্ষমান স্বজনদের প্রতীক্ষা আরও দীর্ঘ হচ্ছে। ঘটনার চতুর্থ দিন বুধবার সকালেও কারখানার সামনে ও আশপাশের এলাকায় নিখোঁজদের স্বজনদের অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
রোববার ভোররাতে রাজধানীর শান্তিনগর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী৷
তার গ্রেপ্তারের খবর ছড়িয়ে পড়ার পরপরই স্থানীয় কিছু মানুষ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের একটি মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে লোকজন জড়ো করে; পরে তারা তারাবো রূপসী এলাকায় গাজী টায়ারসের কারখানায় হামলা চালায় এবং লুটপাট শুরু করে৷
দিনভর লুটপাট চালিয়ে রাত ৯টার দিকে কারখানায় আগুন লাগিয়ে দেয় তারা।
এর আগে গণঅভ্যুত্থানের মুখে ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এক দফায় গাজীর রূপসী ও কর্ণগোপের দুটি কারখানায় হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছিল।
প্রথম/আরডি