রিজভী বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে দেশে প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। স্বৈরাচার হাসিনাবিহীন নতুন পরিবেশে দিনযাপন যে কত আনন্দদায়ক সেটি ৫ আগস্টের পর থেকে বোঝা যায়। ৫ আগস্ট পর্যন্ত রক্ত ঝরার বিনিময়ে যে পরিবেশটি ফুটে উঠেছে, সেটি সাধারণ মানুষকে আশাবাদী করছে। সামনে আমরা নির্বিঘ্নে কথা বলতে পারব, চলতে পারব। আমরা ভোট দিতে যাব, সেটির সঠিক প্রতিফলন হবে। কেউ ডাকাতের কায়দায় আমাদের ভোট ছিনিয়ে নিতে পারবে না। সভ্য সমাজ গড়ার উপাদানগুলো আজ সুস্পষ্ট হয়ে উঠছে।অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আস্থা রেখে তিনি বলেন, তারা সংস্কার করে যাচ্ছেন, তবুও একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে গণতন্ত্রকে সুসংহত করতে, অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের মনে রাখতে হবে, ১৫ বছর ধরে একটি স্বৈরাচারী সরকার নির্দয়ভাবে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠানগুলো দখল করে নিজেদের লোকদের বসিয়ে রেখেছিল। সুতরাং মনে রাখতে হবে ফ্যাসিবাদের দোসররা কোনভাবেই যেন তাদের এ টিম, বি টিম বা সি টিমের লোকদেরকে সেই জায়গাগুলাতে না বসাতে পারে। ফ্যাসিবাদের দোসররা নানা কায়দায় রং ও বর্ণ পরিবর্তন করে বসার চেষ্টা করছে। এরা নিজেদেরকে নিরপেক্ষ বলার চেষ্টা করছে। এখনো কিছু জায়গায় স্বৈরাচারের দোসররা বেশ কয়েকটি জায়গায় বসেছে, তারা উই পোকার মতো অবস্থান নিয়েছে। এই উইপোকারা বট বৃক্ষ খেয়ে ফেলতে পারে।
প্রথম/আরডি