এম হেলাল উদ্দিন নিরব -পটিয়া ( চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
দক্ষিণ চট্টগ্রামের পটিয়ায় আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের বিশাল মিছিল ও শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মসজিদ- মাদরাসা দখল এবং শিক্ষকদের জোরপূর্বক পদত্যাগে বাধ্য করার মতো ঘৃন্য কাজ সভ্যতার গালে প্রচণ্ড চপেটাঘাত- আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত নেতৃবৃন্দ বলেছেন- সাম্প্রতিক ছাত্র- জনতার গণ অভ্যূত্থান ছিল সর্বপ্রকার বৈষম্য বিরোধী একটি সফল আন্দোলন। যেথায় জাতি,ধর্ম, বর্ণ ও দলমত নির্বিশেষে সকলেরই সমর্থন এবং অংশগ্রহণ কখনো বিস্মৃত হবার নয়। তবে এ সফল আন্দোলনের মাধ্যমে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের মতো সফলতাকে ম্লান করার যে কোন হীন প্রয়াস- প্রচেষ্ঠা পুনরায় দেশ- জাতিকে ভ্রষ্টতার দিকে ধাবিত করবে নিঃসন্দেহে। অনস্বীকার্য বাস্তবতা হলো, ছাত্র আন্দোলন এর এহেন অর্জনকে একটি কুচক্রিমহল ছিনতাই করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এক শ্রেণীর দূর্বৃত্ত কর্তৃক আল্লাহর ঘর পবিত্র মসজিদের ইমামদেরকে জোরপূর্বক বের করে দেয়া হচ্ছে, একের পর এক আল্লাহর অলিদের মাজার ভেঙ্গে দেয়া হচ্ছে এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সম্মানীয় শিক্ষকদের উপর চড়াও হয়ে তাঁদের জোরপূর্বক পদত্যাগে বাধ্য করা হচ্ছে। এসব গর্হিত কাজ কেবল ছাত্রদের কীর্তিগাঁথাকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে তা নয়, বরং এটি সভ্যতার গালে প্রচণ্ড চপেটাঘাত বলে নেতৃবৃন্দ মন্তব্য করেন। নেতৃবৃন্দ ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নিহতদের সাথে জড়িতদের অবিলম্বে দ্রুত বিচারের আওতায় এনে আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত পূর্বক হতাহতদের পরিবারকে পুনর্বাসনের উদ্যোগ গ্রহণ, মসজিদ- মাদ্রাসা ও মাযার শরীফে হামলাকারী উগ্রবাদীদের দ্রুত গ্রেপ্তার পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা, অন্যায়ভাবে যেসব ইমাম, খতিব, আলেম-ওলামা ও সম্মানিত শিক্ষকদের কর্মস্থল থেকে জোরপূর্বক বের করে দেয়া হয়েছে, তাঁদের শিগগীরই স্বপদে পুনর্বহাল করা এবং ইসলামিক ফাউণ্ডেশন কর্তৃক যে কোন ধর্মীয় স্পর্শকাতর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে সকল ইসলামী ঘরানার স্কলারদের মতামত গ্রহণ করার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন। আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত বৃহত্তর পটিয়া উপজেলার উদ্যোগে অদ্য ৭ সেপ্টেম্বর ‘২৪ শনিবার বিকেল ২টায় পটিয়া শাহচান্দ আউলিয়া কামিল মাদরাসা ময়দানে অনুষ্ঠিত সম্প্রীতি সমাবেশে বক্তারা উপরোক্ত মন্তব্য করেন। আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত পটিয়া লিয়াজো কমিটির সমন্বয়ক অধ্যক্ষ কাজী মাওলানা হাফেজ আহমদ আলকাদেরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে উদ্বোধক ছিলেন- পীরে তরিকত আল্লামা এয়ার মোহাম্মদ পিয়ারু।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন- মাওলানা এ এম মঈনউদ্দীন চৌধুরী হালিম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- মাওলানা কাজী সোলায়মান চৌধুরী, অধ্যক্ষ এম ইব্রাহীম আখতারী। যৌথভাবে সমাবেশ সঞ্চালনায় ছিলেন- মোহাম্মদ আবু ছালেহ, অধ্যাপক শহিদুল্লাহ সাদা ও মাওলানা কুতুব উদ্দীন।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- অধ্যক্ষ মাওলানা আলাউদ্দীন আশরাফী, জহির আহমদ সওদাগর, শাহজাদা মাওলানা সামুনুর রশিদ আমিরী, অধ্যক্ষ আল্লামা সাইফুদ্দীন খালেদ আলকাদেরী, মাওলানা শহিদুল হক হোসাইনী, মোহাম্মদ জামাল উদ্দীন চৌধুরী, মোহাম্মদ আলী হোসেন, হারিছ উদ্দীন দৌলতী, মাস্টার জামাল উদ্দীন আহমদ, আরিফুর রহমান আমিরী, মোহাম্মদ আবদুর রহিম, মাওলানা নুরুল আলম, অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম, ফেরদৌস আলম খান আলকাদেরী, মাওলানা এনাম রেজা, মাওলানা আহমদ কবির রেজভী, মাওলানা জয়নাল আবেদীন জিহাদী, মাওলানা আবুল মোকাররম নঈমী, মাওলানা এরফান উদ্দীন, পীরে তরিকত মাওলানা হাচ্ছানুল হক নঈমী, মাস্টার কমরুদ্দীন, কাজী আবু বকর সিদ্দিক, আলহাজ্ব কাজী ফৌজুল কবির,
মাওলানা বেলাল উদ্দীন আলকাদেরী, মিয়া মোহাম্মদ জুনায়েদ, কামাল রব্বানী,মোরশেদ নিজামী, মাওলানা ইউসুফ জিলানী, মাওলানা মহিউদ্দিন আলকাদেরী, মোহাম্মদ বেলাল আলমদার, আকতার হোসেন, মাস্টার হারুন, আবুল কালাম লিটন,মাওলানা নুরুল ইসলাম জিহাদী ও কুতুবউদ্দিন শাহ নুরী প্রমূখ নেতৃবৃন্দ। সমাবেশ পরবর্তী একটি বিশাল মিছিল পটিয়া সদরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা কার্যালয় সম্মুখে এসে শেষ হয়। এসময় হাজার-হাজার সুন্নী জনতার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ও গগনবিদারী স্লোগানে আকাশ- বাতাস প্রকম্পিত হয়ে উঠে।
উল্লেখ্য যে, সমাবেশে ৯ দফা দাবি উপস্থাপন করা হয়।
প্রথম /আরডি