দুদকের দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, এফবিসিসিআইয়ের সঙ্গে বৈঠকে মানিলন্ডারিংরোধে করণীয়, কারিগরি সহায়তা ও অন্তর্বর্তী সরকারের টাকা ফেরাতে টাস্কফোর্স কীভাবে এফবিআইকে পাশে পাবেÑ সে বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। যৌথ টাস্কফোর্সে তাদের সরাসরি অংশগ্রহণ থাকবে নাকি পরামর্শক হিসেবে থাকবে তা নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সূত্রটি। এছাড়া এফবিআইয়ের সঙ্গে একটি এমওইউ স্বাক্ষর করারও চিন্তা-ভাবনা রয়েছে দুদকের।
অর্থপাচার প্রতিরোধ ও বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে কাজ করে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক), পুলিশের সিআইডি, বিএফআইইউ, এনবিআরসহ একাধিক প্রতিষ্ঠান। সম্প্রতি বিদায়ী আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পাচার হওয়া প্রায় এক লাখ কোটি টাকার খোঁজে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুদকের একজন মহাপরিচালক বলেন, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধে দীর্ঘদিন ধরে দুদক কাজ করেছে। এ ছাড়া পাচার হওয়া টাকা উদ্ধারে আমাদের সফলতা আছে। মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত কার্যক্রম, আইন ও আমাদের সক্ষমতা এফবিআইকে জানাব।
তিনি বলেন,‘বিদেশে পাচার হওয়া টাকা ফেরাতে সংস্থাটির কোনো সাহায্য নেওয়া যায় কী না সে বিষয়ে আমাদের কথা হবে। আলোচনা হতে পারে যৌথ টাস্কফোর্স নিয়েও। দুদকের সঙ্গে এফবিআইসহ একাধিক বিদেশি আইন প্রয়োগকারী নিয়মিত যোগাযোগ হয় বলেও জানান তিনি।
এদিকে গতকাল রোববার সকালে বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে টাস্কফোর্স গঠন করার কথা জানিয়েছেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ। সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সভা শেষে গণমাধ্যমকে বলেন, টাস্কফোর্সের কর্মপদ্ধতির কী হবে, কারা থাকবে, এর প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ চলছে। কিছুদিনের মধ্যে এই টাস্কফোর্স দৃশ্যমান হবে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও ব্যাংক খাতের সংস্কারে আলাদা টাস্কফোর্স গঠন করা হবে।
জানা গেছে, সরকারের বিশেষ টাস্কফোর্সে বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), দুর্নীতি দমন কমিশন, অর্থ বিভাগ, এনবিআর, অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ইত্যাদি সংস্থার প্রতিনিধিরা থাকছেন।
প্রথম/আরডি