আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি :-

দেশের গ্রামাঞ্চলে একসময় ক্রিকেট খেলাকে ডাংগুলি খেলা বলে কটাক্ষ করা হলেও এখন দিন দিন গ্রামে-গঞ্জে ক্রিকেট খেলার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগে জেলা কেন্দ্রীক ক্রিকেট প্রশিক্ষণের ক্লাব থাকলেও এখন প্রায় প্রতিটি উপজেলায় গ্রামের ছেলেমেয়েদের প্রশিক্ষণের জন্য ক্রিকেট একাডেমি গঠন করা হচ্ছে। চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায়ও ক্রিকেট প্রশিক্ষণের জন্য দু’টি ক্রিকেট একাডেমি রয়েছে।

জানা যায়, “আনোয়ারা ক্রিকেট একাডেমি” ও
“আনোয়ারা উপজেলা ক্রিকেট একাডেমি” নামের আনোয়ারায় দু’টি ক্রিকেট প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। একেকটি একাডেমি ৩০-৬০ জন সদস্য রয়েছে। নিয়মিত প্রশিক্ষণ এবং বিভিন্ন ক্যাম্প ও ম্যাচের মাধ্যমে সদস্যদের ক্ষুদে ক্রিকেটার হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে বলে জানান একাডেমির প্রশিক্ষকরা।

উপজেলার সদরে অবস্থিত মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে সকাল-বিকেল দূরদূরান্ত থেকে এসে ক্ষুদে ক্রিকেটাররা ক্রিকেট প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে ১০ বছর থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সী প্রশিক্ষণার্থী রয়েছে। তাঁরা শরীর চর্চাসহ ক্রিকেটের বিভিন্ন মুভমেন্টের অনুশীলন করছেন।

আনোয়ারা “আনোয়ারা উপজেলা ক্রিকেট একাডেমি”র ক্ষুদে ক্রিকেটার মিনহাজুল হক বলেন, ছোটো থেকেই ক্রিকেটের প্রতি একটা ভালো লাগা কাজ করে। সে ভালো লাগা থেকেই এখানে প্রশিক্ষণ নিতে আসা। এখান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে আমি অনুধর্ব-১৫ জাতীয় ক্যাম্পে খেলার সুযোগ পেয়েছি। আমার বিশ্বাস আমি একদিন জাতীয় পর্যায়ে খেলবো।

অরুন কুমার দত্ত নামের এক প্রশিক্ষণার্থীর অভিভাবক বলেন, ” পড়াশোনার পাশাপাশি বাচ্চারা যে-ই বিষয়ে আগ্রহী সে-ই বিষয়ে মনোযোগী হতে তাদের সুযোগ করে দেওয়া উচিত। এতে করে বাচ্চারা পড়াশোনায়ও মনোযোগী হয় এবং অন্য একটি সেক্টরেও পারদর্শী হয়ে উঠে। যার ফলে তারা সুশৃঙ্খল এবং নিয়মানুবর্তিতা হয়।

“আনোয়ারা উপজেলা ক্রিকেট একাডেমি”র সহকারী প্রশিক্ষক ইশতিয়াক অভি জানান, “বর্তমানে তাদের একাডেমিতে ষাটোর্ধ প্রশিক্ষণার্থী রয়েছে। যাদের মধ্যে অনেকের ” সিজেকেএস” কর্তৃক আয়োজিত প্রিমিয়ার লীগ, ১ম, ২য় ও ৩য় বিভাগ লীগ, বিসিবি গেম ডেভেলপমেন্ট কর্তৃক আয়োজিত বয়স ভিত্তিক টুর্ণামেন্ট ও অনুর্ধ-১৫ জাতীয় ক্যাম্পে খেলার সুযোগ হয়েছে।

একাডেমির পরিচালক হুমায়ুন কবির শাহ্ সুমন বলেন, ২০২২ সালের ১৫জন প্রশিক্ষণার্থী নিয়ে আমাদের একাডেমি শুরু হয়। আনোয়ারা প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে প্রশিক্ষণার্থী একাডেমিতে প্রশিক্ষণ নিতে আসে। প্রীতি ম্যাচ আয়োজন, ক্যাম্প, ট্যুরসহ নানান সুযোগ-সুবিধার মধ্যদিয়ে প্রশিক্ষণার্থী প্রতিভা বিকাশের সুযোগ দেওয়া হয়।

প্রথম / আরডি