মো আবদুল করিম সোহাগ – ঢাকা :-
জীবনে অনেক বড় বিপদের মুখ থেকে বেঁচে ফিরেছেন অনন্য মামুন। বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি তার ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
অনন্য মামুন লিখেছেন, ‘জীবনে অনেক বড় বিপদ থেকে বেঁচে গেলাম। আপনাদের সাবধান করার জন্য ঘটনাটা শেয়ার করছি। গুলশানে একটা মিটিং শেষ করে নিজে ড্রাইভ করে সাতরাস্তা দিয়ে বাংলামটর যাচ্ছিলাম। হঠাৎ পেছন থেকে একটা ব্ল্যাক কালারের প্রাডো ডিপার দিচ্ছিলো। প্রথমে ব্যাপারটা খেয়াল করিনি।’
তিনি জানালেন, ‘সিগনাল পার হয়ে এফডিসির রাস্তায় ওঠার পর দেখলাম, গাড়িটা আমাকে ফলো করছে, থামার জন্য ডিপার লাইট মারছে। রাস্তায় কোনো লাইট নেই তাই আমি বুঝতে পারিনি। এফডিসির সামনের রেল লাইনটা পার হওয়ার সময় দেখি কাগজ দিয়ে গাড়ির গ্লাসে পুলিশ লেখা। আমি মনে করলাম হয় সিগনাল ভেঙে সামনে এসেছি। তাই কারওয়ান বাজারে মাছের আড়ৎ এর অপজিটে সাইড করতে যাচ্ছিলাম।
তিনি সময় হিসেবে উল্লেখ করেছেন, ‘রাত ১০.৪৮ মিনিট।’
তিনি জানালেন, ‘সিগনাল পার হয়ে এফডিসির রাস্তায় ওঠার পর দেখলাম, গাড়িটা আমাকে ফলো করছে, থামার জন্য ডিপার লাইট মারছে। রাস্তায় কোনো লাইট নেই তাই আমি বুঝতে পারিনি। এফডিসির সামনের রেল লাইনটা পার হওয়ার সময় দেখি কাগজ দিয়ে গাড়ির গ্লাসে পুলিশ লেখা। আমি মনে করলাম হয় সিগনাল ভেঙে সামনে এসেছি। তাই কারওয়ান বাজারে মাছের আড়ৎ এর অপজিটে সাইড করতে যাচ্ছিলাম।’
তার ভাষায়, ‘হঠাৎ আমার মনে হলো পুলিশ আমাকে কেন ফলো করবে আর অন্যায় যদি করি তাহলে সামনে গিয়ে সোনারগাঁও হোটেলের সামনে সাইড করি। ওখানে আলোও আছে, লোকজন ও আছে। ২ সেকেন্ডের মধ্যে জোরে গাড়ি টেনে সোনারগাঁও সামনে গেলাম। লুকিং গ্লাসে যাদের গাড়ি থেকে নামতে দেখলাম, তাদের কাউকে পুলিশ মনে হলো না।’
বিষয়টির বর্ণনা করে তিনি লেখেন, ‘অবাক করা বিষয় হলো, সেই গাড়িটা আর সামনে এলো না। সোনারগাঁওয়ের সামনে গাড়ি সাইড করে গাড়ি থেকে নেমে পেছনে দেখলাম কেউ নেই। নিজের চোখ কেউ বিশ্বাস হচ্ছিলো না। যারা রাতের বেলা এফডিসি কারওয়ান বাজার, সাতরাস্তা ব্যবহার করবেন তারা একটু সচেতন হবেন। আজব ব্যাপার হলো এই রাস্তা গুলোতে কোন রোড লাইট নেই। শহরে এতো গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা গুলোর লাইট হঠাৎ করে কোথায় উধাও হয়ে গেলো।
প্রকাশের সময় -১.৩৮ পিএম,১৫ অক্টোবর ২৪
প্রথম / আরডি