আন্দোলনে আহত এক ব্যক্তির রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী রওশন আলী। গত ৯ অক্টোবর পাঁচটি বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন উত্তরা এলাকার বাসিন্দা মনির মুন্না।
রিটের পর আইনজীবী রওশন আলী পাঁচটি বিষয় তুলে ধরেন। এর মধ্যে রয়েছে, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহতদের পরিবার ও আহত ব্যক্তিদের এখনো কোনো ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি। ক্ষতিগ্রস্তদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা অবিলম্বে নেওয়া, নিহত এবং আহতদের একটি সম্পূর্ণ ও আনুষ্ঠানিক তালিকা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পরামর্শক্রমে দ্রুত সম্ভব প্রণয়ন করা।
এ ছাড়াও রয়েছে, অনেক আহত ব্যক্তির উন্নত এবং দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা প্রয়োজন। আহত ব্যক্তিদের জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসা এবং পুনর্বাসন সহায়তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া, বিশেষ করে গুরুতর আহতদের জন্য বিশেষায়িত যত্নের ব্যবস্থা করা।
ক্ষতিপূরণ নীতি প্রণয়নে একটি কমিটি গঠন করা, যা সরকারি কর্মকর্তা, স্বাধীন বিশেষজ্ঞ এবং সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সমন্বয়ে গঠিত হবে। এ কমিটি নিহতদের পরিবার ও আহতদের জন্য ক্ষতিপূরণ মূল্যায়ন এবং বণ্টনের জন্য স্পষ্ট এবং স্বচ্ছ মানদণ্ড, নির্দেশিকা ও নীতিমালা তৈরি করবে। এর ফলে প্রক্রিয়া সুষ্ঠু ও কার্যকর হবে।
এ বিষয়ে সুশৃঙ্খলভাবে পদক্ষেপ নিশ্চিত করার জন্য একটি স্বাধীন কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা, যারা ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া এবং তদারকির জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত থাকবে। এর মাধ্যমে সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য তহবিল এবং বিভিন্ন সুবিধা দেওয়ার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে।
এ পাঁচটি বিষয়ে নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়। আদালত প্রাথমিক শুনানি শেষে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য রুল জারি করলেন।
প্রথম/আরডি